
প্রকাশিত: Sun, Jan 29, 2023 4:00 PM আপডেট: Fri, May 9, 2025 6:16 PM
ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে নাÑএটা কাদের জন্য দুঃসংবাদ?
কাজী এম মোরশেদ: ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে না। এইটা বড়ই দুঃসংবাদ। হচ্ছে না কথাটা পুরো ঠিক না, নির্বাচন কমিশন ২ লাখ মেশিন চেয়েছিলো, যার খরচ ২ লাখ ৫ হাজার করে। শুধু মেশিন বাণিজ্য ৪ হাজার কোটি টাকার। সাথে আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি, প্রশিক্ষণ বাবদ আরো সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করা গেলো না। মোট সাড়ে সাত হাজারে কত টাকার বাণিজ্য, কতো কমিশন, কতো ভুয়া ভাউচার সব নষ্ট করে দিলো পরিকল্পনা কমিশন। পরিকল্পনা কমিশন বলছে, টাকা নাই। আর ইলেকশন কমিশন বলছে, যেই দেড় লাখ মেশিন ২০০৮ সালে কেনা ছিলো, সেগুলো পরীক্ষা করে দেখবে কতোগুলো ঠিক আছে যা দিয়ে ইভিএম চালানো যায়। তাদের ধারণা ৫০ থেকে ৭০ আসনে চলবে। বিগত কিছু মেয়র ও চেয়ারম্যান ইলেকশনে দেখা গেছে ইভিএমে সমস্যা করেছে, রেজাল্ট আসতে দেরী হয়েছে। এই ধরনের অভিজ্ঞতার পরও নির্বাচন কমিশনের ইভিএম প্রীতির পিছনে যে বিভিন্ন ধরনের লেনদেন থাকতে পারে, সে শঙ্কাও আছে।
বিভিন্ন দেশ থেকে ইভিএম তুলে দিয়েছে, সে ব্যাপারে আগেও বলেছিলাম। এর পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো, যেকোনো ভোটে একটা ব্যাকআপ প্লান থাকতে হয়। প্লানটা হলো, আপনি যে ভোট দেবেন তা পুনরায় গণনার পথ থাকতে হবে। একটা ব্যালটের ভোটে পুনরায় গণনার জন্য ব্যালট থাকে। মেইল ভোটেও ব্যালট থাকে। আই-ভোটিং বা ইন্টারনেট ভোটিংয়ের সময় কাকে ভোট দেওয়া হলো তার কনফার্মেশন স্লিপ তৈরি হয়, পুনঃভোট গণনায় সেটা জমা দিতে হয়। ইভিএমে সে ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এই কারণে জার্মান, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র বা আমেরিকার মতো দেশ ইভিএম বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতে পার্লামেন্টে সারা দেশের সামনে লাইভ সম্প্রচার করে দেখিয়েছে কীভাবে ইভিএমের প্রোগ্রামে হ্যাক করে যাই ভোট দেন তা প্রোগামিং অনুযায়ী ফল দেয়। এরপর তারাও বন্ধ করেছে।
সেই দিক থেকে আমরা এইসব অনুন্নত দেশ থেকে অনেক উন্নত, আমাদের কাছে ইভিএম মানে সর্বোতকৃষ্ট পন্থা। এ ছাড়া চলবে না। শুধু পয়সা নাই, না হলে করেই ছাড়তো। ইভিএমের জন্য অধ্যাপক জাফর ইকবালের সেই অমোঘ বাণী, উনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারেনÑ এতো ভালো টেকনোলজি কোথাও দেখেননি। সাথে উনার এক ভাব শিষ্য অধ্যাপক কায়কোবাদও একই বাণী দিয়ে গেছেন। টেকনোলজি অনুযায়ী উনারা দু’জন বাংলার গর্ব। এই একই কুমীর ছানা বারবার ব্যবহৃত হয় যেকোনো কিছু হালাল করতে। কমিশন বাণিজ্যের ব্যাপারে কিছু জানি না, তবে বিশাল অংকের প্রজেক্টে ইভিএম এবং তদসংলগ্ন যন্ত্রপাতি ও ট্রেনিং, মিটিং, বাবদ যে খরচ ধরা হয়, বড় একটা অংকের হিসাব করা হয়েছিলো সেটা উবে গেছে। যারা দুবাই বাড়ি কিনতে বায়না করে চুক্তি স্বাক্ষর ফি দিয়েছিলো, সেই টাকাও গেলো।
ইভিএম মেশিন বাবদ যে খরচ, তা দেবার কথা ছিলো বিএমটিএফকে। সেনাবাহিনীর এই অংগসংগঠন নিয়ে আপত্তি নাই, তারা টাকা চুরি করে বলে মনে হয় না। কিন্তু মেশিন বানাতে যা লাগে তা হলো ডিজাইন এবং স্পেয়ার পার্টস। এই স্পেয়ার পার্টস আমদানিতে বড় ধরনের দুর্নীতির আশঙ্কা ওভার ইনভয়েসের মাধ্যমে, একদম উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ভারত জাপান থেকে কিনেছিলো খুব সম্ভবত ১৮ হাজার রুপি করে, সেখানে বাংলাদেশে দাম ২ লাখ ৫ হাজার যা চীন থেকে এনে এসেম্বল করা হবে, সেখানে অনেকের স্বার্থ ছিলো। সবচেয়ে বেশি খটকা লেগেছে টেকনোলোজি ডিজাইন কে করেছিলো। এই কথাটা একবারো কেউ বলে নাই।
আমাদের জাতীর বিবেক, সকল বিষয়ের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জাফর ইকবাল যখন এর ব্যাপারে সার্টিফিকেট দিয়েছেন, সেখানে অবশ্যই ঘাপলা আছে। এই ভদ্রলোককে সব কিছুর ট্রাম্প কার্ড হিসাবে ব্যবহার করতে করতে উনি এখন হাসির পাত্র হয়ে উঠছেন। এখন মনে হয় উনার বিশেষজ্ঞতা কমানো উচিত। হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে তার নাটকে নতুন ডায়ালগ দিতেন মির্জা সাহেবের মুখে, জাফর, থামলে ভালো লাগে। একটা প্রশ্ন বারবার মাথায় ঘোরে কোনো জবাব পাই না। অধ্যাপক জাফর ইকবাল বারবার ব্যবহৃত হচ্ছেন কেন? তার দুর্বলতা ঠিক কোথায়, যা তাকে ব্যবহৃত হতে বাধ্য করছে। কারো হাতে রশি আছে, যেটা টানলেই উনি অনুগত যোদ্ধার মতো এগিয়ে আসতে বাধ্য হন। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
